বুধবার কক্সবাজার সময় ডটকমসহ কয়েকটি পত্রিকায় হলদিয়াপালং উত্তর সাংগঠনিক যুবদলের পকেট কমিটি গঠনের সংবাদ নিয়ে সর্বত্র তোলাপড় সৃষ্টি হয়েছে। আঁতে ঘা লেগেছে ওই পকেট কমিটি দেয়া দায়িত্বশীল আওয়ামীলীগ প্রেমী বিএনপিদের মাঝে। সূত্রটি জানিয়েছেন, সংবাদ প্রকাশিত না হলেই ওই দায়িত্বশীল নেতারা পকেট কমিটি ঘোষনা করে দিত। এখন এই পকেট কমিটি দেয়া- নেয়া নিয়ে চলছে নতুন কাহিনী। অনেকের প্রশ্ন যুবদলের কমিটি কি আধো দেয়া হবে! না রং তামাশা করবে!
সূত্র জানায়, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সাংগঠনিক ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কমিঠি দীর্ঘ দুই বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে থানা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ৯টি ওয়ার্ডে ঝাঁকজমক ভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করেন।
গত ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর মরিচ্যা বাজার স্টেশন চত্বরে অতীতের ইতিহাস রেকর্ড করে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ শাহ জাহান চৌধুরীর উপস্থিতিতে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন উত্তর সাংগঠনিক ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন পরবর্তী সময়ে সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক- সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থীদের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক করেও সমঝোতা না হলে, তৃণমূলের মতামত নিয়ে পরে কমিঠি ঘোষণা করবেন বলে থানা বিএনপি ও উপজেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন।
সারা দেশে বিএনপির চেয়ারপার্সন ২০দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারা দেশের তৃণমূলের মতামতকে প্রাধন্য দিয়ে কমিঠি গঠন করতে বললেও একটি বিতর্কিত পরিবারের আত্বীয়তার দোহায় দিয়ে তৃণমূলের মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হলদিয়া পালং উত্তর যুবদলের কমিঠি ত্যাগী, পরিচ্ছন্ন, যোগ্যদের বাদ দিয়ে জনবিচ্ছিন্ন, আওয়ামীলীগের সাথে আতাঁতকারীদের নিয়ে পকেট কমিঠি গঠনের তোড়জোড়ের খবর পেয়ে ৯টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি/সম্পাদক/সাংগঠনিক সম্পাদকসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা গতকাল বিকালে মরিচ্যা বাজার স্টশন চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূলের অসন্তোষের কথা উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কানে গেলে, তারা উপজেলা যুবদলের সভাপতি হামিদ হোসেন সাগর, সাধারণ সম্পাদক জামাল মাহমুদকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। উপর মহলের ফোন পেয়ে যুবদলের সভাপতি/সম্পাদক হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি/সম্পাদক/সাংগঠনিক সম্পাদক পদ প্রার্থীদের কোটবাজার মৌচাক নামের এক কুলিং কর্ণারে ডেকে নিয়ে প্রার্থীদের ছবি দেওয়ার জন্য বলেন এবং কোন ধরনের বিশৃংখলা না করার জন্য অনুরোধ করেন। তবে উপজেলা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। তৃণমূলের সাফ জবাব পকেট কমিঠি মানা হবে না। এ দিকে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জানান, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ১নং ওয়ার্ড তথা মরিচ্যা বাজার স্টেশন থেকে করলে ওই কমিঠিকে তারা অবাঞ্চিত ঘোষণা করবেন। তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জানান ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডকে সমন্বয় করে যোগ্যতার ভিত্তিতে কমিঠি ঘোষণা করতে হবে।
খোদ অভিযোগ উঠেছে, ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে জেলা বিএনপির সভাপতি উখিয়া টেকনাফের মাঠি ও মানুষের প্রিয় নেতা শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্মরণকালের জন সভাকে বানচাল করার জন্য হাওয়া ভবনের নামধারি আলমগীর চৌধুরীর ব্যানার ও ফেষ্টুন দিয়ে যারা সারা উপজেলা বিচরন ও ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল তারা মূল কমিটির সুপার ফাইভ আসার খবরে মূলত তৃণমূলের এতো হতাশা।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি হামিদ হোসন সাগর দাবি করেছেন, কোন ধরনের পকেট কমিটি দেয়া হবে না! তৃণমূল যাকে চাই তাকে কমিটিতে দায়িত্ব দেয়া হবে। তিনি পকেট কমিটির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
কক্সবাজার জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর আলী জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা যুবদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে খুব সর্তকতার সাথে ত্যাগি নেতা-কর্মীদের সম্মনয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে হলদিয়া ইউনিয়ন উত্তর সাংগঠনিক যুবদলের তৃণমূলের নেতা কর্মীরা পকেট কমিঠি গঠন না করার জন্য কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ শাহ জাহান চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি কাজি রফিক উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরীসহ জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য যে, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন উত্তর যুবদলের তৃণমূল দায়িত্বশীল নেতাদের অনুরোধে এই সংবাদটি ছাপানো হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।