তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো হাঙ্গেরির উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকাল ৯টার দিকে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে এ সফরে ‘ওয়াটার সামিট’ বা পানি সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া দুই দেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে গঠিত পানিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সদস্য শেখ হাসিনা। এ প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন- হাঙ্গেরি, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরিশাস, মেক্সিকো, পেরু, তাজিকিস্তান ও সেনেগালের রাষ্ট্রপতি এবং নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী।
হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য- ‘জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত পানি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ’।
হাঙ্গেরির স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে বুদাপেস্ট পৌঁছাবেন শেখ হাসিনা। পরদিন সকালে পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেদিনই বুদাপেস্টে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বাসভবনে শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রাতে হাঙ্গেরি প্রেসিডেন্টের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
সফরের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে হাঙ্গেরির শহীদদের স্মৃতির সম্মানে হিরোজ স্কোয়ারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এরপর হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিকালে শেখ হাসিনা এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলাদেশ-হাঙ্গেরি বিজনেস ইকোনমিক ফোরাম’-এর উদ্বোধন করবেন। অতঃপর বুধবার সকালে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা।
এদিকে এতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রসার এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।