টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে এক ব্যক্তির বিক্রি করা জমি পুনরায় জবর দখলে নিতে অপর এক ব্যক্তিকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়-উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়াপাড়ার মধ্যম হ্নীলা মৌজার বিএস ৩৭০৫খতিয়ানের ৯৯৬২দাগের ১০শতক জমি বিগত ১৪/১২/১৯৯৬ইং সনে স্থানীয় মৃত ইউছুপ আলী মহরীর পুত্র লাল মিয়া একই এলাকার মৌলভী মরহুম মিয়া হোছনের পুত্র সিরাজুল ইসলামকে বিক্রি করেন। উক্ত জমিতে সিরাজুল ইসলাম বসত-বাড়ি তৈরী করে ২৫বছর ধরে মালিক সুত্রে ভোগ দখলে আছে। ৯৯৬২দাগের মোট অপরাপর মালিকসহ ৩৬শতক জমি রয়েছে। সৌদি প্রবাসী লাল মিয়ার পুত্র নুরুল হোছন অপর এক মালিক হতে কেনা সুত্রে উপরোক্ত দাগে কিছু জমির মালিক। বিগত ১৪/১২/১৯৯৭ইং উপরোক্ত দাগ ও খতিয়ানের আন্দর হতে স্থানীয় জাফর আলমের স্ত্রী গুলজার বেগমকে লাল মিয়া ও তার পুত্র সৌদি প্রবাসী নুরুল হোছনের জমি হতে তার ছোট ভাই ছৈয়দ হোছন স্বাক্ষর জালিয়াতি করে পিতা-পুত্র মিলে ৬.৬৬শতক জমি বিক্রয় করেন। পিতার মৃত্যুর পর গত ১০/০৫/২০১৫সালে বিজ্ঞ আদালতে মৃত লাল মিয়ার পুত্র নবী হোছন ও ছৈয়দ হোছন বাদী হয়ে আবুল মঞ্জুর গংয়ের বিরুদ্ধে ৫৫/২০১৫ইং মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আসামীদের বিপক্ষে তাদের সৌদি প্রবাসী ভাই নুরুল হোছন মৃত্যুবরণ করেছে মর্মে সম্পত্তি দাবী করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত যাচাই-বাচাই শেষে মঞ্জুর গংকে ডিক্রী প্রদান করেন এবং সৌদি প্রবাসী ভাই নুরুল হোছন জীবিত রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়। কিন্তু নবী হোছন ও ছৈয়দ হোছন তাদের পিতা লাল মিয়া কর্তৃক সিরাজুল ইসলামকে বিক্রিত জমি জবর দখলের জন্য হুমকি-ধমকি প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে বলে সিরাজুল ইসলাম জানান। তিনি এসব হয়রানি থেকে রক্ষা পেয়ে সুবিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।