এই খারাপ সময়ে একের পর এক ক্রিকেটার বাড়িয়ে দিচ্ছেন সাহায্যের হাত। গত কয়েক দিন ধরে করোনা নিয়ে সবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি নিজ এলাকার মানুষদের নানাভাবে সাহায্য করছেন তিনি।
এই যেমন নিজস্ব তহবিল থেকে নড়াইলে কর্মহীন ১২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন। এরই মধ্যে নিজস্ব তহবিল থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসক, নার্সদের জন্য ২০০ সুরক্ষার পোশাক পিপিই জোগাড় করেছেন। আরও ৩০০ পিপিই ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে তার।
এখন পর্যন্ত ৪ টন চাল কেনা হয়েছে। প্রতি পরিবারে ৫ কেজি করে প্রাথমিকভাবে ৩০০ পরিবারকে বিতরণ করা হবে, এভাবে ধীরে ধীরে যত দূর এগিয়ে নেওয়া যায়।
সাংসদ হিসেবে এসব দায়িত্ব তো পালন করছেনই। খেলোয়াড় হিসেবেও ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন এ কঠিন সময়ে। ক্রিকেটাররা যে ৩০ লাখ টাকার তহবিল গঠন করেছেন, মাশরাফি সেখানে দিয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। নিজের জায়গা থেকে চেষ্টা করছেন সাধ্যমতো করতে। মাশরাফির উদ্বেগটা এখন মানুষের সচেতনতা নিয়ে। করোনা নিয়ে এত বার্তা, এত প্রচারের পরও এখনো অনেক সচেতন হচ্ছেন না, বুঝতে পারছেন না করোনা ভয়াবহতা। এটিই ভাবাচ্ছে মাশরাফিকে, ‘ইতালি, স্পেন এত উন্নত দেশ, যাদের স্বাস্থ্যসেবা সব সময়ই সেরা তিনে থেকেছে; তারা কী হিমশিমটা খাচ্ছে করোনা ঠেকাতে! আমাদের বুঝতে হবে এর ভয়াবহতার বিষয়টা। সরকার ছুটি ঘোষণা দিল ঘরে থাকতে। অমনি আমরা পড়িমরি করে দল বেঁধে ছুটলাম গ্রামের বাড়িতে। করোনা ঝুঁকিতে পড়ে গেল হাজার হাজার মানুষ। আমাদের মতো দেশে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতাই হচ্ছে মূল ব্যাপার।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।